খেলাধুলা
এ অঞ্চলের আদি খেলা হচ্ছে হা-ডু-ডু, গোল্লাছুট, দাড়িয়াবান্ধা, ষোলকড়ি, মার্বেল, মঙ্গলপাছা, বায়োস্কোপ, বউ-জামাই, লুকোচুরি, লুডু, পুতুল খেলা ইত্যাদি। ক্রমবিকাশের সাথে এ সকল খেলার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে ফুটবল, ব্যাডমিন্টন, ভলিবল, দাবা, ক্যারাম প্রভৃতি খেলা। ক্রিকেট খেলা খুব হয় না এ অঞ্চলে। তবে সম্প্রতি শিশু কিশোরদের মধ্যে এ খেলা দেখা যায়।
বিভিন্ন থানায় প্রতিযোগিতা ভিত্তিক ফুটবল, ভলিভল, হা-ডু-ডু ও ব্যাটমিন্টন খেলা হয়ে থাকে। আবহমান বাংলার ঐতিহ্যে লালিত যে প্রতিযোগিতা এখানেও পরিদৃষ্ট হয় তা হচ্ছে নৌকা বাইচ। বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠানে এখানে নৌকা বাইচের প্রতিযোগিতা হয়। পৌষ ও চৈত্র সংক্রান্তিতে পূর্বে এখানে ষাঁড়ের দৌড় হতো। ইদানিং এটা খুব একটা দেখা যায় না।
ফুটবল খেলায় সারা ভারতবর্ষব্যাপী সুনাম অর্জন করেছেন এদেশের ভোজেশ্বরের সন্তান গোষ্ট পাল। ভারত সরকার তাকে ‘পদ্মশ্রী’ পদকে ভূষিত করেন। তিনিই সারা ভারতে প্রথম ফুটবলার যিনি এ পদকে ভূষিত হয়েছেন। আব্দুল মোতালেব সরদার কোলকাতার মোহামেডানের রাইট হাফে খেলতেন।
বিনোদন
এমন কিছু অনুষ্ঠান এ এলাকায় উদযাপিত হয় যা হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে সকল মানুষই উদযাপন করে। যেমন বাংলা নববর্ষ। পহেলা বৈশাখের দিনে এ অঞ্চলে যেন আনন্দের বান ডাকে। ব্যবসায়ীগণ শুভ হালখাতার অনুষ্ঠান করে। হিন্দুগণ মিষ্টি বিতরণ করে। মুসলমানগণ মিলাদ মাহফিলে মাধ্যমে উন্নত খাবার দাবারে দিবসটি পালন করে। প্রকৃতিও যেন এ সময়ে নব অনুরাগে স্নাত হয়ে নববর্ষকে স্বাগত জানায়। এ অঞ্চলে নতুন বছরের আগমনে বৈশাখী মেলা বসে।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS